দীর্ঘদিন ধরেই ২৮ বছর বয়সী লিটন দাসের ব্যাটে রান নেই। ধারাবাহিকতার অভাবে চারদিক থেকে সমালোচনাও ধেয়ে আসছিল। এমন অবস্থায় গত সেপ্টেম্বরে নিউজিলান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ রানে আউট হন তিনি। একে ফর্মহীনতা, তার ওপর বাজেভাবে আউট।
সব মিলিয়ে লিটন যেন নিজের ওপরই বিরক্ত ছিলেন। আউট হওয়ার পর তার চোখেমুখেও সেই বিরক্তির ছাপ ফুটে উঠেছিল। শুধু তাই না, ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে রাগে ব্যাটও ভেঙে ফেলেছিলেন ওই সিরিজে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। লিটনের ব্যাট ভাঙার এ দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়।
এ ঘটনা উচ্চারিত হলো ওয়াসিম আকরাম, শোয়েব মালিক, মিসবাহ-উল-হক, মঈন খানের মতো পাকিস্তানের ক্রিকেট কিংবদন্তিদের কণ্ঠেও। গত শনিবার ৭ অক্টোবর বাংলাদশ ও আফগানিস্তানে মধ্যকার ম্যাচের আগে দ্য প্যাভিলিয়ন নামের এক টিভি টক শোতে টাইগারদের নিয়ে কথা বলছিলেন তারা। সেই সঙ্গে দলের অনেক ক্রিকেটারদের নিয়েও তাদের মুখ থেকে প্রশংসা ঝরছিল। কথা প্রসঙ্গে এক পর্যায়ে কথা ওঠে লিটনের বিষয়েও।
তখন শোয়েব মালিক তার ফর্মহীনতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “লিটন দাস কিছুটা লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাকে আমি হতাশা প্রকাশ করতেও দেখেছি। এক ম্যাচে সে তো নিজের ব্যাটও ভেঙে ফেলেছে আউট হওয়ার পর।” তখন বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের কড়া মেজাজের কথা উল্লেখ করে ওয়াসিম আকরাম বলেন, “তাদের অনেক রাগ করতে দেখা যায়।”
তখন সবার মধ্যে হাসির রোল ওঠে। উপস্থাপক এমন হওয়ার কারণ জানতে চাইলে আকরাম বলেন, “আমি যাদের সঙ্গে খেলেছি, তারা খুব দারুণ মানুষ ছিল। এখনো বাংলাদেশের মানুষ খুবই দুর্দান্ত। হয়তো তরুণ খেলোয়াড়েরা মুহূর্তের উত্তেজনায় এমন আচরণ করে।” প্রায় পুরোটা সময় নীরব থাকা মিসবাহ উল হক আকরামের এ কথার পর টিপ্পনি কেটে বলেন, “ঢাকার যানজটের কারণেও এমনটা হতে পারে।”
এদিকে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরে বাংলাদশের শুরুটা ভালোই হয়েছে। শনিবার ধর্মশালার ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। তিন উইকেট নেওয়া সাকিব-মিরাজের বোলিং তোপে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানরা ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে সহ অধিনায়ক শান্ত আর ম্যাচসেরা মিরাজের ফিফটিতে মাত্র চার উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।